করাতকল ৪ - কামরুল হুদা পথিক

কামরুল হুদা পথিক

সম্পাদক: দ্রষ্টব্য ও করাতকল

সর্বশেষ

Home Top Ad

আপনি জীবদ্দশায় অপ্রাতিষ্ঠানিক থাকতে পারেন, কিন্তু প্রতিষ্ঠান নামের বুনোশুয়োর আপনাকে থাকতে দেবেনা কারণ, তাদের ‘ঘি’ বলেন আর ‘গু’ বলেন কোন কিছুতে ‘না’ নেই

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৯

করাতকল ৪

‘মাথার উপরে বসে থাকা গুপ্তঘাতক তোমার সম্ভ্রমে 
পালকের স্পর্শে জাগিয়ে তোলে অনাগত কালকেউটে সম্পর্ক...’

করাতকল ৪ তার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে এবং গভীর পর্যবেক্ষণে করাতকল অনুভব করছে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষার লিটলম্যাগকে চিহ্নিত করতে বারবার বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছি মিডিয়া থেকে ভদ্রস্তভাবে বিতাড়িত হয়েছে এমন কিছু অপারগ কবি- যারা বিতাড়িত হবার পরেও কোন একটি নিজস্ব কাগজে নিজেকে প্রকাশ করার চরম অক্ষমতার কারণে ফেসবুক কেন্দ্রীক কূট আলোচনা তর্ক নিয়ে সকল বিষয়ে একধরনের আলোচ্য হবার চেষ্টায়রত। আমরাও আলোচনা করি কিন্তু কেবল আমাদের সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের যতোটুকু রাজনীতিক এবং অর্থনীতিক বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, যদিও আমরা জানি প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা একটি টোটাল বিষয়, নিরন্তর কোয়েশ্চেন। কিন্তু অদ্ভূত লাগে এই ধরনের মেলামেশাকারী কিছুটা নামপরিচয়ধারী কবি লেখক শিল্পীদের কোনো বিষয়ে কোনো কোয়েশ্চেন নেই, সবজান্তা ভাব নিয়ে শুধু মতামত ব্যক্ত করছে। অর্থ্যাৎ আত্মস্ত করার চেয়ে খাপ ছাড়া পড়াশুনো এবং অন্যের ও বুদ্ধিজীবিদের কথায় আলগা চিন্তা করা ছাড়া তাদের মগজে কোনকিছুই স্থিরভাবে দানা বাঁধে না। এরা সবক্ষেত্রেই আমাদেরকে সিরিয়াস বলে, যেহেতু তাদের কোনো দায় নেই সেহেতু এটা মনে করাই স্বাভাবিক। লেখার বিষয়বসস্তুতে একেবারেই কল্পনা শক্তি নেই, প্রেম নেই, লড়াই নেই, শিল্প বলছে অথচ লক্ষ্য করুণ নারীপুরুষের উদগ্র জৈব আকাক্সক্ষা অহেতুক নিন্মবিত্ত মানসিকতায় বিজ্ঞান এবং সংষ্কারকে তালগোল পাকিয়ে সমাজের ভিতরে আত্মস্ত আস্থাগুলোকে প্রগতির নামে ইউরোপ বানাতে চায়। প্রগতির নামে ইউরোপীয় মননের দাসত্ব করে। এই অস্থিরতাকে কখনোই যুগযন্ত্রণা বলে আমরা মনে করি না। আসলে যেভাবে তারা নিজেদেরকে দেখেছিলো সেভাবে নিজেকে মেলাতে পারছে না। সময় ও বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তাদের হারিয়ে যাবার ভয় তৈরি হয়েছে, এজন্যই এতো ঝাঁপটা ঝাঁপটি- আর এই বাক-চাতুর্য! আমাদের কাজের ধারাটা যেহেতু আমাদের মতো, সেহেতু এটা করলেন কেনো ওটা করলেন কেনো এরকম বোকার মতো প্রশ্ন করবেন না। কারোর কাছে প্রমান দেবার কোনো অবকাশ আমাদের আজ আর নেই, দুই বাংলায় কয়েক দশকের কয়েকজন কবি-লেখক সাহিত্যিক যারা নিখাঁদ ভাবে প্রমাণিত তারা প্রতিমুহূর্তে আমাদের সঙ্গে আছেন।

দেশে এনজিওর তৎপরতা এতোটাই ঘৃণ্য পর্যায় গেছে যে সাম্প্রতিককালে অসহায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক লালসাও ধরা পড়েছে। এখানে যারা কর্মরত তাদের বিবেক বিবেচনা প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা তীব্রভাবে বর্তমান ব্যবস্থাপনার প্রতি সন্দিহান হয়ে পড়ছি, সরকারের প্রতি আহ্বান এসকল এনজিও কার্জক্রমকে অবিলম্বে কঠোর পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হোক। যুবকদের স্বাবলম্বীতার নামে মেরুদ-হীন করা, নারী মুক্তির নামে সংসার জীবন থেকে প্রলোভনে সরিয়ে নিয়ে আসা, জলবায়ু এবং পরিবেশ উন্নয়নের নামে জনগণকে শুধু ধোকা দেয়া নয়, তাদেরকে ‘লুম্পেন’ চরিত্রের মধ্যে ফেলা। এরকম দীর্ঘতর প্রক্রিয়া চলতে থাকলে দেশের ভেতর গৃহযুদ্ধ অবসাম্ভাবী। কুসংস্কার উৎপাটনের নামে ্আমাদের আত্মস্ত হওয়া সংস্কার উৎপাটনই যাদের লক্ষ্য, তাদের প্রতি বিশ্বাস করা ভয়ঙ্কর বিষয়। দাতা সংস্থা-মানবতা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক স্বচ্ছ সংস্থা সরকারকে দিকভ্রষ্ট না করে সে জন্য আমরা তরুণ ছাত্রজনতা এবং সর্বসাধারণকে অবগত করতে চাই।

লক্ষ্য করছি, প্রতিষ্ঠানবিরোধীতার কথা যখন বলছি প্রথাবিরোধিতার কথা যখন বলছি তখন সেই স্পেসিভিক পয়েন্ট থেকে সরে গিয়ে একটা এপ্স্যুলুট ধারণার দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে এইসমাজের অন্তসারশূন্য বুদ্ধিজীবি শিক্ষক শ্রেণিরা। প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা বলতে সরাসরি শুনুন, আর কিছুই না, নিরন্তর কোয়েশ্চেন আমাদের কাছে শুধু মনগড়া একটা আদল নিয়ে আমাদের মূল্যায়ন করবেন না। নিজেদের মন গড়া একটা ধারনা নিয়ে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা, প্রথাবিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। আবারো বলছি এটা একটি নিরন্তন কোয়েশ্চেন। আমরা এইটুকু চাই এই কোয়েশ্চেনের সাথে আপনি একাত্ম হউন।



Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages